লিখেছেন আল মামুন |
মঙ্গলবার, 11 নভেম্বর 2008 00:35 |
পৌরাণিক কিংবদন্তীর ভূমি ও বাংলাদেশের সবুজ শস্যের ভান্ডার বিস্তীর্ণ সমতল ও উর্বর দিনাজপুর বাংলাদেশের ষষ্ঠ বৃহত্তম জেলা। একদা পুন্ড্রবর্ধনের অংশ থেকে এবং পরবর্তীতে ব্রিটিশ আমলের স্বল্প সংখ্যক মানুষের আবাসস্থল থেকে উন্নতি ও পরিবর্তনের পর ১৯৭৩ সালে বঙ্গভঙ্গ -এর সময় ১ম দফা বিভাজিত হয়ে (বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে) এবং বাংলাদেশের অংশটি ১৯৯০ সালে (সালের সূত্র অনিশ্চিত) আরেক দফা বিভাজিত হয়ে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার জন্মদান এবং রংপুর ও নীলফামারী জেলাগুলোকে কিয়দাংশ প্রদানের মাধ্যমে আজকের দিনাজপুর জেলার আবির্ভাব।
নামকরণঃ দিনাজপুর জেলার নামকরণ নিয়ে যেমন অনেক ঐতিহাসিক মতবাদ আছে তেমন আছে একাধিক কিংবদন্তী। ধারণা করা হয় প্রতাপশালী ব্যক্তি দানূজ রায়ের নাম হতে দিনাজপুর নামটি এসেছে। অন্যদিকে কারো মতে পঞ্চদশ শতকের প্রথমার্ধে উত্তর বাংলার রাজা গণেশ যখন গৌড়ের সিংহাসনে আরোহন করেন তখন "দনুজ মর্দন দেব" বা "দানূজ মর্দন দেব" উপাধি ধারন করেন। পরবর্তীতে এই উপাধি থেকে 'দিনাজপুর' নাম হয়। তবে মেহরাব আলী ঐতিহাসিক তত্ব দ্বারা এই নামকরণের উৎপত্তিকে ভিত্তিহীন প্রমাণ করেন। বুকানন অনুমান করেন "দিনাজ" বা "দিনাওয়াজ" নামক কোন রাজকীয় ব্যক্তির নাম হতে জেলার নামটি এসেছে। বলাবাহুল্য, এই রাজকীয় ব্যক্তির কোন ঐতিহাসিক সন্ধান পাওয়া যায় না। যাহোক, স্থানীয়ভাবে প্রচলিত হিন্দু কিংবদন্তী মতে দিনা নামক একজন ব্রান্মনের রাখাল অথবা মুসলিম ঐতিহ্য মতে দিনা নামক একজন ফকিরের নাম হতে এই স্থানের নাম দিনাজপুর হয়েছে। এসব বিভিন্ন মতবাদকে গোলমেলে মনে হলেও দিনাজপুর রাজবংশের সাথে দিনাজপুর নামটির সম্পর্ক সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। দিনাজপুর নামে একটি মৌজা ছিল এবং কোম্পানী আমলে কাগজ কলমে এই নামটি প্রথম ব্যবহৃত হলেও ভৌগলিককভাবে মৌজাটি অনেক প্রাচীন। আর এখানেই ছিল রাজবাড়ী। যেহেতু রাজবাড়ী যে মৌজায় অবস্থিত তার নাম দিনাজপুর, তাই রাজার সন্মানার্থে অত্র জেলার ও শাসনাধিকরণ শহরটির নাম হয় দিনাজপুর (১৭৯৩)।
থানাঃ ১৩টি; দিনাজপুর সদর, খানসামা, বীরগঞ্জ, কাহারোল, বোচাগঞ্জ, বিরল, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট।
ইউনিয়নঃ ১০২টি
মৌজাঃ ১২৪৫টি
(চলবে)
|
LAST_UPDATED2 |