রামসাগর নামের দীঘিটির চারপাশে সবুজ গাছ-পালায় ভরা। দীঘিটি উত্তর দক্ষিন লম্বা। দীঘিটির জলভাগের দৈর্ঘ্য ১০৩১ মিটার, প্রস্থ ৩৬৪ মিটার ও গভীরতা ৯ মিটার। দক্ষিন দিকের চেয়ে উত্তর দিকের গভীরতা বেশি। দীঘির প্রধান পাকা ঘাট পশ্চিম পাড়ের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত যা সুপ্রশস্থ। এই ঘাট এর দৈর্ঘ্য ১৫০ ফুট প্রস্থ ৬০ ফুট। এছাড়া উত্তর ও দক্ষিন দিকেও একটি করে ঘাট রয়েছে, কিন্তু এই ঘাটগুলি আকারে ছোট।
দীঘির চারদিকে বেশকিছু উচুঁ-উচুঁ টিলা ছিল, তবে এই উচুঁ পাহাড় গুলোর সব আজ আর দেখা যায় না। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এর উচু পাহাড়গুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। উত্তর-পূর্ব কোনের সবচে উচুঁ পাহাড়টি আজও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। এই পাহাড়টির উচ্চতা সমতল থেকে ৪০ ফুট উচুঁ। দীঘির উত্তর দিকে একটা ধংসম্তপ দেখা যায়, এটা নিয়ে মনুষের নানা প্রশ্ন-নানা কৌতুহল। কেউ বলে এটা মন্দির আবার কেউ বলে রাজার বিশ্রামাগার। দীঘির পশ্চিম পাড়ের ঠিক বিপরীতে একটি ছোটখাট কৃত্রিম চিড়িয়াখানা আছে এবং তাতে চিত্ত বিনোদনের নানা সামগ্রী রয়েছে। উত্তর কোন ও চিড়িয়াখানার মাঝখানে একটি মসজিদও রয়েছে। দীঘির চারদিকে লোকজন হাঁটার জন্য ইট বিছান পথ,মানুষ বসার জন্য বিভিন্ন জায়গায় সুব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসে রামসাগরের প্রাকৃতিক সৌন্দয় উপভগের জন্য, আবার অনেক মানুষ আসে বনভোজনের জন্য। রামসাগরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন, চোখে না দেখলে।
রামসাগর পর্যটন বিভাগের তত্বাবধানে রয়েছে। পর্যটন কর্পোরেশন এর শ্রী বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ও একটি মনোরম ও আধুনিক বিশ্রামাগার স্থাপন করেছে।